• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২রা শ্রাবণ ১৪৩২ বিকাল ০৫:৩৪:১১ (17-Jul-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২রা শ্রাবণ ১৪৩২ বিকাল ০৫:৩৪:১১ (17-Jul-2025)
  • - ৩৩° সে:

দেবিদ্বারে ইউপি চেয়ারম্যানের ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার দেবিদ্বারে ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠুর ক্রয় করা জমির উপর নির্মিত ঘর ভেঙে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় হুমায়ুন কবির ও মকবুল হোসেনদের বিরুদ্ধে। উপজেলার ধামতী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় ১৪ মার্চ শুক্রবার দেবিদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ইউপি চেয়ারম্যান মিঠুর আত্মীয় মো. সুমন।জানা যায়, ইতঃপূর্বে অনেকবার হুমায়ুন কবিরের লোকজন এ জমিটি দখলের চেষ্টা করে। কখনও জমির কলাগাছ কেটে নেয়া, ঘর ভাংচুর, ঘরের বাসিন্দাদের মারধর ও মালামাল লুট, আবার কখনও সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে ইউপি চেয়ারম্যানকে বির্তকিত করে তার ক্রয় করা জমি দখলের চেষ্টা করা হয়েছে।  এবার রাতের আঁধারে জমির মধ্যে থাকা একটি ঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেছে হুমায়ুন কবিররা।  ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠুর ছোট ভাই মো. সোহরাব হোসেন জানান, ‘আমার বড় ভাই ২০২২ সালের ২২ জুন দুয়ারিয়া এলাকায় ৫২ শতক জায়গা হুমায়ুন কবির ও মকবুল হোসেনের কাছ থেকে কেনার জন্য বায়নাপত্র করে এবং সম্পত্তির মূল্য বাবদ ৪৩ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেন। তারা পরে টাকা বুঝে নিয়ে আমাদেরকে জায়গার ভোগ দখল বুঝিয়ে দিলে আমরা গত দুই বছর যাবৎ উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করছি। সেখানে কলার বাগান করি। আমরা বহুবার তাদেরকে সম্পত্তিটি রেজিস্ট্রি করে দিতে বললেও মকবুল হোসেন প্রবাসে থাকার বাহানা দিয়ে এখন পর্যন্ত তা করেনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরেই তারা বেপরোয়া হয়ে উঠে।’স্থানীয় সূত্র জানায়, জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। অভিযুক্তরা পুরো জমিটি দখল করে নিতে চায়। তারা প্রশাসন ও আদালতের নির্দেশও মানছে না। এ ঘটনায় জড়িতরা হলো, ধামতী ইউনিয়নের দুয়ারিয়া গ্রামের মো. হুমায়ুন কবির, মহসিন, শরিফুল ইসলাম,  আবু সাইদ, কাউসার আহমেদ মানিক, মো. খলিল ও আলামিন প্রমুখ।এ বিষয়ে জানতে হুমায়ুন কবিরের মুঠোফোনে কল দিয়েও সংযোগ সম্ভব হয়নি।দেবিদ্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইলিয়াস হোসেন জানান, এই ঘটনায় এটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ আজ ঘটনাস্থলে গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উল্লেখ্য, স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মিঠু আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সমর্থিত আওয়ামী নেতা-কর্মীদের রোষানলে পড়েন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আজাদ এমপি হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদে নিজ কার্যালয়েও তিনি যেতে পারতেন না আজাদ সমর্থিত নেতাকর্মীদের হুমকির কারণে। চেয়ারম্যান মিঠুর লোকজনকে একাধিকবার মারধরও করা হয়।