শিমুল ইউএসএ : স্বপ্ন দেখান, পথ দেখান
নিউজ ডেস্ক: প্রবাস জীবন মানেই কি স্বপ্নপূরণের গল্প? না, বরং তা হয় সংগ্রাম, ধৈর্য আর সঠিক দিকনির্দেশনার এক দীর্ঘ যাত্রা। আর এই পথেই হাজারো তরুণকে আলো দেখাচ্ছেন এক ব্যতিক্রমী মানুষ শিমুল আহমেদ, যিনি বর্তমানে পরিচিত ‘শিমুল ইউএসএ’ নামে।ঢাকার তেজকুনি পাড়ায় ১৯৬৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া এই মানুষটি বেড়ে উঠেছেন নানা চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে। শিক্ষাজীবন শুরু হয় টঙ্গী থানার পাইলট হাই স্কুল ও কলেজে। পরে উত্তরা আনোয়ারা মডেল ডিগ্রি কলেজে পড়াশোনা করেন। জীবনের অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের প্রতিটি জেলা এবং মালয়েশিয়া, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ফ্রান্স ও ভারতসহ একাধিক দেশ। কিন্তু তার জীবনের মোড় ঘোরে ২০১৪ সালে, যখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।প্রবাসের শুরুটা ছিল কঠিন; নতুন দেশ, নতুন নিয়ম আর প্রতিদিনের অজানা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু হাল না ছেড়ে শিমুল ধীরে ধীরে নিজেকে তৈরি করেন এবং খুব দ্রুতই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তার নজরে আসে। অনেকেই বিদেশে আসার স্বপ্ন দেখেন, কিন্তু সঠিক তথ্যের অভাবে বিভ্রান্ত হন, ভুল সিদ্ধান্ত নেন। তখন থেকেই শুরু হয় তার নতুন মিশন, সঠিক তথ্য ও গাইডলাইন দিয়ে মানুষকে সহায়তা করা।২০১৭ সাল থেকে তিনি টিকটক ও ফেসবুকে ইমিগ্রেশন, ভিসা, প্রবাস জীবন; এসব বিষয় নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করা শুরু করেন। তার ভিডিওগুলো বাস্তবসম্মত, সহজ ভাষায় উপস্থাপিত এবং তথ্যভিত্তিক হওয়ায় দ্রুতই জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। বর্তমানে তার টিকটকে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি ফলোয়ার এবং ফেসবুকে ১ লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ নিয়মিত তার ভিডিও অনুসরণ করে। প্রতিদিন অসংখ্য তরুণ তার কনটেন্ট দেখে সঠিক তথ্য পান, অনুপ্রাণিত হন এবং প্রবাস জীবনের প্রস্তুতি নিতে সক্ষম হন।শিমুল ইউএসএ মূলত F1, F2, ট্যুরিস্ট ও ভিজিট ভিসা সংক্রান্ত নানা জটিল বিষয় সহজভাবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, “অনেকেই সঠিক তথ্য ও জ্ঞানের অভাবে ভিসা আবেদন ঠিকমতো করতে পারেন না। আমি চাই, যারা বিভ্রান্ত, তারা যেন সত্যিকারের গাইডলাইন পায়।”