অর্থের অভাবে পড়ালেখা ছেড়ে কাজের সন্ধানে নেমেছে ফাহিম
বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: দরিদ্র পিতা রিকশা চালক। ছোট ছোট আরও তিনজন ভাই বোন আছে। মা গৃহিণী। ৮ম শ্রেণিতে ৪৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে তার রোল নম্বর ৫। কিন্তু অর্থাভাবে এখন আর পড়ালেখা চালিয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না তার।বলছিলাম, সরারচর শিবনাথ সাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাহিমের কথা। দরিদ্র পিতা রিকশার প্যাডেল ঘুরিয়ে তার পড়ালেখার খরচ যোগাতে অক্ষম। তাই পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে তাকেও কাজের সন্ধানে নামতে হয়েছে।বাধ্য হয়ে পড়াশোনার ইতি টেনে বছর খানেক ধরে কাজের সন্ধানে বের হচ্ছে ফাহিম। যখন যে কাজ পায়, সে কাজই করে। তবে কাজ না মিললে খালি হাতেই ফিরতে হয় ঘরে। এভাবেই চলছে কিশোর ফাহিমের জীবন।এই প্রতিনিধির সাথে ফাহিমের দেখা হয় কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা এলাকায়। সেখানে কাজের সন্ধানে ছিল সে।এই কিশোর বয়সে পড়ালেখা না করে কাজের সন্ধানে কেন এসেছে জানতে চাইলে, ফাহিম জানায়, ‘সে সরারচর শিবনাথ সাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে স্কুলে যেতে চায়, পড়াশোনা করতে চায়। কিন্তু অর্থের অভাবে সম্ভব হচ্ছে না। বাবার আয়ে সংসার চলে না। তাই কাজের সন্ধান করছে।’