আরব আমিরাতে বিজয় দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
ইউএই প্রতিনিধি: সংযুক্ত আরব আমিরাতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সম্প্রতি প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ স্পোর্টস অ্যান্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন’।দুবাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আশীষ কুমার সরকার টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। মোঃ শাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিআইপি মোহাম্মদ জাকির, উপদেষ্টা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ওমর ফারুক, মাকসুদুর রহমান বিপ্লব, ফিরোজ আহমেদ নয়ন, ফিরোজ খান, লোকমান খান, মুফতি মাসুম বিল্লাহ, নাসির উদ্দিন ও দুলাল সরকার।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আজমানে বাংলাদেশ স্পোর্টস অ্যান্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ শাহপরান বিন সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সালেহ উদ্দিন রাজু, অর্থ সম্পাদক বাবর ও প্রচার সম্পাদক সোহাগসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আতিকুর রহমান, লোকমান হাকিম, কাজী মাহতাব, রুহুল কুদ্দুস, হাবিবুর রহমান বাবু, জিন্নাত শামীম আলী ও শামীম আহমেদ।দিনব্যাপী এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চারটি দল অংশগ্রহণ করে। দলগুলো হলো— বাংলা টাইগার (অধিনায়ক: মোহাম্মদ সালেহ উদ্দিন রাজু), ইয়ংস্টার (অধিনায়ক: মোহাম্মদ শাহপরান), স্বাধীন বাংলাদেশ (অধিনায়ক: রাজিব) এবং নিউ বাগদাদ (অধিনায়ক: ফাহিম)।তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচে নিউ বাগদাদ দলকে ৫৫ রানে পরাজিত করে শিরোপা জয় করে ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ দল। ফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য ইমন ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ এবং পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ নৈপুণ্যের জন্য মাহফুজ ‘সেরা খেলোয়াড়’ নির্বাচিত হন।খেলা শেষে সকল খেলোয়াড়কে সম্মানসূচক মেডেল পরিয়ে দেওয়া হয় এবং বিজয়ী ও রানার-আপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।বক্তারা বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য সুদৃঢ় হয়। জাতীয় দিবস উপলক্ষে এ ধরনের আয়োজন প্রবাসে বেড়ে ওঠা তরুণদের সুস্থ বিনোদনের পাশাপাশি দেশপ্রেম জাগ্রত করতে এবং অপরাধপ্রবণতা হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।আয়োজকরা জানান, প্রবাসীদের মধ্যে ক্রীড়া ও সংস্কৃতিচর্চা অব্যাহত রাখতে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের ইতিবাচক আয়োজন নিয়মিতভাবে করা হবে।