নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি শিল্প বিকাশে দেশের ভেতরই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিতে শুল্ক ও অশুল্ক বাঁধা তৈরি করে রেখে স্বার্থন্বেষী মহল। এতে যুগের পর পর কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে বিপরীতে কাজ করছে বহুজাতিক কোম্পানির সাথে সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও আমলারা। বারবার সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণ, চিঠি ও মিটিংয়েও কৃষি খাত থেকে অশুভ শক্তি দূর করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
এরইপেক্ষিতে মঙ্গলবার রাজধানীতে এসিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ এগ্রোকেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের (বামা) প্রধান উপদেষ্টা এসিআই গ্রুপের চেয়ারম্যান আনিস-উদ-দৌলার নেতৃত্বে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সংগঠনের সভাপতি ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান ও সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর খান। কীটনাশক পণ্যে অপ্রতিরোধ্য সিন্ডিকেট ভাঙতে এ কমিটি প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টদের সাথে সাক্ষাৎ করে অবহিত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ জানাবেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ এলডিসিভূক্ত হয়। নিয়ম অনুযায়ী এলডিসিভূক্ত দেশের জন্য পণ্যের পেটেন্ট প্রযোজ্য হবে না। অথচ আন্তর্জাতিক নিয়ম-আইন বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয় পেটেন্টের দোহায় দিয়ে স্থানীয় উৎপাদন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রেখেছে বালাইনাশক কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি-পিটাক। এমনকি আমদানিতেও বাঁধা তৈরি করা হয়েছে সিঙ্গেল কান্টি ও সিঙ্গেল সোর্স করে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট পণ্য নির্দিষ্ট দেশ ও কোম্পানি থেকে কিনতেই হবে। এতে প্রতিযোগিতার সুযোগ না থাকায় কৃষককে কোন কোন পণ্য চার-পাঁচ গুন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এছাড়া পণ্য উৎপাদনে যেন স্থানীয় শিল্প টিকতে না পারে কাঁচামাল আমদানিতে উচ্চ শল্ক আরোপ করে রাখা হয়েছে। বর্তমানে প্রস্তুতকৃত কীটনাশক পণ্য পাঁচ শতাংশ শুল্ক দিয়ে আমদানি করা যায়। অথচ একই পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল ও এর সহযোগী পণ্য আমদানিতে দিতে হয় ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক। যা কোনভাবেই বোধগম্য ও যুক্তি সংগত নয়। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ কীটনাশকের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর কথা বললেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর, এর বিপরীতে নীতি ও শুল্কায়নে এখনো কোন পরিবর্তন আনেনি।
এর আগে, গত ২৫ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) বালাইনাশক পণ্যের আমদানিকারক ও দেশীয় উৎপাদকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বালাইনাশক উৎপাদনে সহযোগী উপাদানের শুল্কহার হ্রাস বা শুল্ক মওকুফের বিষয়ে এক মত প্রকাশ করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available