পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের নেছারাবাদে মামলার ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেল ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে মো. রাইয়ান সাঈদ ফয়সাল (৩০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মো. রাইয়ান সাঈদ ফয়সাল উপজেলার সমুদয়কাটি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মো. ওসমান সাঈদের ছেলে। তিনি সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীদের নামে থানায় একটি অভিযোগ দিয়ে চাঁদা দাবি করেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে উপজেলার সেহাঙ্গল বাজারে এ বিষয়ে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
তারা জানান, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের সাথে সাথে আওয়ামী লীগের দোসররা আত্মগোপনে চলে গেছেন। এই সুযোগে একটি মহল তাদের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে পুনরায় তাদের পুনর্বাসন করতে চায়। এমনকি কিছু নিরীহ ও রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন ব্যক্তির নামেও মিথ্যে মামলা দিয়ে টাকা পয়সা, টেন্ডার বাণিজ্য ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সুবিধা নিচ্ছে। তাদেরকে বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য প্রলোভন দেখিয়ে নগদ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বক্তারা।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাইনুল ইসলাম লিটন বলেন, সমুদয়কাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির বেপারী বর্তমানে চাঁদাবাজির মামলায় জেল হাজতে আছে। ওই মামলার বাদী রাশেদ খান মুন্না অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে আদালতের মাধ্যমে সমঝোতার হলফনামায় স্বাক্ষর দিয়ে তাকে জেল হাজত থেকে বের করার পাঁয়তারা চালিয়েছেন। অন্য একটি অভিযোগে মো. রাইয়ান সাঈদ নামের এক ব্যক্তি সম্প্রতি ১৪ জনের নামে থানায় একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ দিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করছেন। রাজনৈতিক মামলার নামে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের কোন সুযোগ নেই। আমরা এই অন্যায়ের হাত থেকে মুক্তি চাই।
সমুদয়কাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির বেপারীর নিকটাত্মীয় লায়লা বেগম বলেন, আমার আত্মীয় (ইউপি চেয়ারম্যান) বর্তমানে পিরোজপুর জেলখানায় বন্দি আছেন। আমাদের প্রতিবেশী মো. রাইয়ান সাঈদ ফয়সাল চেয়ারম্যানকে মামলা থেকে বাদ দেয়ার শর্তে একটি মোটরসাইকেল দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাইয়ান সাঈদ ফয়সালের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া গেছে এবং অন্য অভিযুক্ত রাশেদ খান মুন্না বলেন, কিছু স্বার্থন্বেষী মহল আমাকে ভুল বুঝিয়ে এই মামলাটি করিয়েছিলেন। যারা আমাকে মামলার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তারা কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। আমি একা মামলাটি চালাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি, তাই সবার দায়িত্ব আমি একা বহন করবো কেন?
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল-বেরুনী সৈকত বলেন, মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির কোনো সুযোগ নেই। ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য যদি কেউ এই ধরনের অপরাধ করে থাকে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে দলীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ব্যক্তির দায় কখনোই দল বহন করবে না।
নেছারাবাদ থানার উপ-পরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ কোন নিরীহ মানুষ যেন মিথ্যে মামলায় হয়রানির শিকার না হয়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available