• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ১৭ই কার্তিক ১৪৩২ রাত ১১:০০:৩০ (01-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:

বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক খ. ম. মহসীন গ্রেফতার

গাজীপুরের (শ্রীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের শ্রীপুরে বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন (বিপিএ)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খ. ম. মহসীনের রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার এবং তাকে কারাগারে প্রেরণের ঘটনাটি সমাজের বিভিন্ন মহলে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে।এই ঘটনা একজন সফল ব্যবসায়ী এবং সংগঠকের বিরুদ্ধে 'রাজনৈতিক সাজানো মামলা'র' অভিযোগ এনে দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ, সুশাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে।​খ. ম. মহসীন দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প পোল্ট্রি খাতের একজন সফল সংগঠক হিসেবে পরিচিত। তাকে 'বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের একটি হত্যা মামলার আসামি' হিসেবে গ্রেফতার করা এবং ক্ষমতাসীন দলের উপদেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত করার অভিযোগ, ব্যবসায়ী মহলে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে।স্থানীয় একাধীক ব্যাক্তিবর্গ বলেন, একজন সফল উদ্যোক্তাকে যদি 'রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ' হিসেবে গণ্য করে আইনি প্রক্রিয়ায় হেনস্তা করা হয়, তবে তা দেশের বিনিয়োগ ও ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় মহলে আস্থার সঙ্কট তৈরি করতে পারে। বিপিএ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি পোল্ট্রি শিল্পের বিভিন্ন সমস্যা সরকারের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম ছিলেন। তার অনুপস্থিতি ও আইনি জটিলতা এই গুরুত্বপূর্ণ খাতের স্বার্থরক্ষা ও প্রবৃদ্ধির গতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।​সাবেক শিক্ষক আব্দুল মোতালেব খান এবং সাংবাদিক ইকবাল হোসেনের বক্তব্যে উঠে এসেছে যে মহসীন একজন সৎ, মানবিক ও স্বৈরাচার বিরোধী ব্যক্তি, যিনি কখনও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। পরিবারও নিশ্চিত করেছে যে তিনি কমিউনিস্ট রাজনীতি থেকে বর্তমানে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। তাকে একটি ছবি এবং ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে রাজনৈতিক মামলায় জড়ানোর ঘটনা আইনের অপপ্রয়োগের গুরুতর ইঙ্গিত দেয়।সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই এই গ্রেফতারকে ব্যক্তিগত আক্রোশ ও হীন স্বার্থের ফল অথবা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হিসেবে দেখছেন। এমন পরিস্থিতিতে, নিরপেক্ষ পুলিশি তদন্ত এবং আদালতের মাধ্যমে দ্রুত সত্য উন্মোচন হওয়া জরুরি, যাতে আইনি প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা বজায় থাকে।একজন ব্যবসায়ী বা সামাজিক সংগঠককে যখন তার পেশাগত পরিচিতি ছাপিয়ে রাজনৈতিক পরিচয়ে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হয়, তখন তা প্রতিবাদ ও ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।​​এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে, দেশের সুশাসন ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো কাম্য: দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত: পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগের উচিত হবে, সব ধরনের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে মামলাটির দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করা। খ. ম. মহসীনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং মামলায় তার প্রকৃত ভূমিকা সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য জনসমক্ষে আনা প্রয়োজন।বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশনসহ দেশের অন্যান্য শীর্ষ ব্যবসায়িক চেম্বার ও সংস্থাগুলোর উচিত হবে, একজন শিল্প নেতার আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখা।পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা বলেন, সরকারের উচ্চমহলের এই ঘটনাটির দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত, যাতে কোনো নিরীহ ব্যক্তি ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার না হন এবং দেশে একটি সুষ্ঠু ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ণ থাকে। ​ন্যায়বিচারের দ্রুত প্রতিফলনই কেবল এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জনমনে সৃষ্ট ক্ষোভ ও উদ্বেগের উপশম ঘটাতে পারে।