• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ২০শে কার্তিক ১৪৩২ রাত ১১:০৭:৩২ (04-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:

সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান বিএনপি নেতা মজিবুর রহমানের

৪ নভেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:৫১:০৩

সংবাদ ছবি

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুর জেলার রাজনীতিতে এক অনন্য ও জনবান্ধব নাম মেয়র মজিবুর রহমান কালিয়াকৈর পৌরসভার তিনবারের সফল মেয়র, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং গাজীপুর-১ আসনের (কালিয়াকৈর উপজেলা ও গাজীপুর সিটির ৭-১২ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত) দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি নিরলস পরিশ্রম, নিষ্ঠা, সততা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে কালিয়াকৈরকে একটি আধুনিক ও উন্নত নগরীতে রূপ দিয়েছেন।

Ad

গাজীপুর-১ আসনে মোট ভোটার প্রায় ৪,৭৭,০০৩ জন। এর প্রতিটি নাগরিকের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন মেয়র মজিবুর রহমান যিনি রাজনীতিকে দেখেন মানবসেবার সর্বোচ্চ আদর্শ হিসেবে।

Ad
Ad

মেয়র মজিবুর রহমানের রাজনীতিতে প্রবেশ ঘটে ছাত্রজীবন থেকেই। তার বাবা একজন ব্যবসায়ী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও গ্রাম সরকার হিসেবে জিয়াউর রহমানের স্বনির্ভর  সমবায় আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি বাবার সঙ্গে থেকে বিএনপির আদর্শ ও জিয়ার কর্মপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময়েই প্রেসিডেন্ট জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত ও খাল খনন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছিল তার জীবনের এক স্মরণীয় অধ্যায়।

১৯৮০ সালে স্কুলে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত হন। পরে কালিয়াকৈর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৮৭ সালে চল চল ঢাকা চল কর্মসূচিতে পায়ে হেঁটে ঢাকায় গিয়ে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে গ্রাম সরকার প্রতিনিধি সম্মেলনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার পত্নী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে অংশ নেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অধ্যয়নকালে তিনি কালিয়াকৈর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করে তিনি রাজনীতি ও সমাজসেবায় পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করেন।

১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে গাজীপুর ১ আসনে দলের পরাজয়েও তিনি মনোবল হারাননি। জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সহ-সভাপতি হিসেবে কাজ করেছেন নিষ্ঠা ও ত্যাগের সাথে। এরশাদবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০১৮ সালের জনসভা, ২০২১ সালের পৌর নির্বাচন ও ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলন প্রতিটি আন্দোলনেই তিনি ও তাঁর পরিবার সামনের সারিতে ছিলেন।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তিনি পরিবারসহ শাহবাগ ও মহাখালিতে মিছিলে অংশ নেন, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সাহসী ভূমিকা রাখেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তিনি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, হিন্দু ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও গণসমাবেশের আয়োজন করে দৃঢ় নেতৃত্বের পরিচয় দেন।

১৮ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত মেয়র মজিবুর রহমান একটানা ২০ বছর ১৭ দিন কালিয়াকৈর পৌরসভার দায়িত্ব পালন করেছেন, বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর মেয়াদকালে কালিয়াকৈর পৌরসভা উন্নীত হয় প্রথম শ্রেণির পৌরসভায়।

তিনি যাবার সময় (পাককালে)  পৌরসভার মাধ্যমে উন্নয়নে প্রায় ১৬১ কোটি টাকার কাজ পৌরসভার মাধ্যমে, পৌর তহবিল থেকে ১৩০ কোটি, এলজিইডির মাধ্যমে ৩১ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রহিয়াছে।

২০০ কিলোমিটার পাকা ও আরসিসি রাস্তা নির্মাণ ৩০০ কিলোমিটার ড্রেন ও ৩০০ কিলোমিটার সলিং রাস্তা নির্মাণ টার্মিনাল, মাছের আড়ৎ, দরগাহ শরীফ, মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়ন ৭২ কিমি পাইপলাইন ও ৮টি পাম্প স্থাপন করে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ১২টি গার্বেজ ট্রাক, ভেকু, রোলার ও অন্যান্য সরঞ্জাম সংগ্রহ ৮০ শতাংশ  পৌর জমি লিজ, পৌরভবনের জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হোল্ডিং নাম্বার প্লেট বাড়ি-বাড়ি বিনামূল্যে প্রদান ফ্লাইওভার, ফুটওভারব্রিজ ও ড্রেন নির্মাণে সাসেক প্রকল্পের বাস্তবায়ন,তিনি বিশ্বাস করেন রাজনীতি মানে মানুষের কল্যাণ।

কোভিড সময়ে ৫০,০০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য বিতরণ ৩ লক্ষ পরিবারকে করোনার টিকা প্রদান, কেজি স্কুল, মাদ্রাসা ও গরীব শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা ও বৃত্তি প্রদান ২টি অ্যাম্বুলেন্স দ্বারা বিনা খরচে সেবা প্রদান বেওয়ারিশ লাশ দাফন ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাহায্য ১৫০টি মসজিদ-মাদ্রাসা, মন্দির, গির্জা, কবরস্থান ও শ্মশানের উন্নয়ন কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদক-সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম জোরদার রিকশা-মোটর ও নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণ তহবিল গঠন প্রগতিশীল ফোরামের মাধ্যমে শত শত শিক্ষার্থীর বৃত্তি প্রদান।

তিনি পৌর রাজস্ব ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করেন। প্রতি বছর রাজস্ব টেন্ডারের মাধ্যমে পৌর আয়ের উৎস বাড়ান, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন নিশ্চিত করেন। নগর পরিকল্পনায় সহজ শর্তে নকশা অনুমোদন ও হোল্ডিং ট্যাক্সে সংস্কার আনেন। পৌরসভা ছাড়ার সময় তিনি রেখে যান ৬ কোটি টাকার এফডিআর যা তাঁর সততা ও আর্থিক দূরদর্শিতার প্রতিফলন।

পায়ে হেঁটে এলাকাবাসীর সমস্যা দেখা ও তাৎক্ষণিক সমাধান করা তাঁর অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের সহাবস্থানে বিশ্বাসী এই নেতা বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শে দৃঢ় থেকে আওয়ামী প্রভাবমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলেন।

মেয়র মজিবুর রহমান বলেন, আমি রাজনীতি করি মানুষের জন্য, জনগণের ভালোবাসাই আমার শক্তি, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান তিনি।

স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃদন্দরা জানান, দীর্ঘ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ মেয়র মজিবুর রহমান শুধু কালিয়াকৈর নয়, পুরো গাজী পুরবাসীর গর্ব।  উন্নয়ন, মানবতা ও নিষ্ঠার প্রতীক এই জননেতা আজ প্রস্তুত ধানের শীষের পতাকা হাতে নিয়ে সংসদীয় আসন ১৯৩ (গাজীপুর-১) থেকে জনগণের সেবায় আরও বৃহত্তর পরিসরে কাজ করতে পরে তাই আমরা তাকে চাই।

তারা আরও জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে মেয়র মজিবুর রহমান অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন।তাঁর নির্দেশনায় কালিয়াকৈর উপজেলা, পৌরসভা ও কোনাবাড়ী মেট্রো থানায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী লিফলেট বিতরণ, র‍্যালি ও ভোট প্রার্থনা কর্মসূচি পরিচালনা করছেন। এই কর্মসূচিগুলিতে সাধারণ মানুষের বিপুল অংশগ্রহণ প্রমাণ করে, মেয়র মজিবুর রহমানের প্রতি জনগণের গভীর আস্থা ও সমর্থন রয়েছে অমাদের ।

উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান শেলী বলেন,মেয়র মজিবুর রহমানের সময়েই কালিয়াকৈর পৌরসভা সত্যিকার অর্থে উন্নত ও পরিকল্পিত নগরে রূপ নিয়েছে। তিনি জনগণের চোখে একজন মানবিক ও কর্মমুখী নেতা।

উপজেলা বিএনপি নেতা কাইয়ুম বলেন,মেয়র মজিবুর রহমান,তরুণদের খেলাধুলায় আগ্রহী করতে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ, মাঠ উন্নয়ন এবং অটো রিকশা শ্রমিকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছেন। এতে তরুণ প্রজন্মের মাঝে ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারা সৃষ্টি হয়েছে।

পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন,মেয়র মজিবুর রহমান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দলের স্বার্থে নয়, জনগণের স্বার্থেই তাঁর রাজনীতি।

বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন,তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাঁর নেতৃত্বে তৃণমূল সংগঠনগুলো নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে।

গাজীপুর জেলা জাসাসের আহ্বায়ক এরশাদ ফকির বলেন, মেয়র মজিবুর রহমান সম্প্রতি কিছু মহল তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। কিন্তু কালিয়াকৈরের জনগণ জানে, মজিবুর রহমান সবসময় উন্নয়ন ও জনসেবার রাজনীতি করেন। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে তিনি যে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সৃষ্টি করেছেন, তা আজ দৃশ্যমান।

পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আমজাদ হোসেন বলেন,মেয়র মজিবুর রহমান তরুণদের প্রতি তাঁর আগ্রহ অসাধারণ। খেলাধুলা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে তিনি তরুণদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী রিয়াজ উদ্দিন বলেন,মেয়র মজিবুর রহমান দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, উন্নয়নমুখী দৃষ্টিভঙ্গি ও জনগণের ভালোবাসা নিয়ে মেয়র মজিবুর রহমান আজও তৃণমূল রাজনীতিতে সক্রিয়। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি যদি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, তাহলে গাজীপুর-১ আসনে নতুন উন্নয়নের অধ্যায় সূচিত হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, মেয়র মজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে তিনটি মূল ভিত্তি স্বচ্ছ নেতৃত্ব, সংগঠন পরিচালনায় দক্ষতা, মানবিক জনসম্পৃক্ততা। তিনি শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, একজন সৎ প্রশাসক, সমাজসেবক ও দূরদর্শী পরিকল্পনাবিদ।তৃণমূল পর্যায়ে তাঁর রয়েছে শক্ত সংগঠন, তরুণ সমাজের বিশ্বাস, প্রবীণদের শ্রদ্ধা।

মেয়র মজিবুর রহমানের লক্ষ্য গাজীপুর-১ আসনকে দেশের অন্যতম আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও জনবান্ধব এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা।

তিনি আরও বলেন,আমার স্বপ্ন হলো এমন একটি সমাজ যেখানে কেউ বেকার থাকবে না, শিক্ষা ও চিকিৎসা হবে সবার মৌলিক অধিকার, আর প্রশাসন হবে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক।
 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ








সংবাদ ছবি
সাগরে লঘুচাপ, ৪ জেলায় অতিভারী বৃষ্টির আভাস
৪ নভেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:৪১:০৭




Follow Us