ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি: ঢাকা কলেজের দক্ষিণ ছাত্রাবাসের ডাইনিং থেকে মরা মুরগি ও পচা মাছ রান্নার প্রস্তুতিকালে ম্যানেজার এবং রাঁধুনিকে আটক করেছে আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা কলেজের দক্ষিণ ছাত্রাবাসে এ ঘটনাটি ঘটে। এ সময় জব্দ করা মরা মুরগির মাংস ও মাছসহ আটকদের নিউমার্কেট থানায় সপোর্দ করা হয়।
আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে আমাদের মরা মুরগির মাংস খাওয়াচ্ছিলেন। খাওয়ার সময় মাংস থেকে দুর্গন্ধ আসতো। বিষয়টি তাকে বললে আমলে নিতেন না। বরং তিনি মরা মুরগির মাংস ও ভালো মাংস মিশিয়ে রান্না করতেন, যাতে কেউ বুঝতে না পারে। এই আলামত পাওয়ায় আমরা কয়েকদিন অবজার্রভ করে মঙ্গলবার বিকেলে মরা মুরগির মাংস ও পঁচা মাছসহ তাদের ধরা হয়। এই ঘটনা তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা কলেজের দক্ষিণ ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী তামিম বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ আগে খাওয়ার সময়ই মাংসে তীব্র দুর্গন্ধ পাই। কর্মচারীদের জিজ্ঞাসা করলে জানায়, ধোয়ার সময় গন্ধ হয়। আমি বিষয়টি তদারকি করি এবং দেখতে পাই, মাংসের গন্ধ এতটাই তীব্র যে কারও বমি চলে আসতে পারে।
তিনি আরও জানান, জীবিত মুরগি জবাই করলে শরীর থেকে ৭০-৮০ শতাংশ রক্ত বের হয়। কিন্তু মরা মুরগিতে তা হয় না। আমরা মাংসের টুকরোতে রক্ত জমাট অবস্থায় দেখতে পাই, যা থেকে আমরা নিশ্চিত হই আমাদের পচা-মরা মাংস খাওয়ানো হচ্ছে। কয়েকদিন পর্যবেক্ষণের পর আজ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আমার বন্ধু এবং শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধভাবে রান্নার সময় অভিযুক্ত মাংস ও মাছসহ ম্যানেজারকে হাতেনাতে ধরি।
এ বিষয়ে দক্ষিণ ছাত্রাবাসের প্রভোস্ট আনোয়ার মাহমুদ বলেন, ডাইনিং ম্যানেজারে বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা কয়েকবার অভিযোগ দিয়েছে। আমি তাদের ম্যানেজারকে কয়েকদিন অবজার্ভ করতে বলেছিলাম। বিকেলে শিক্ষার্থীরা তাকে মরা মুরগির মাংস ও পচা মাছ সহ ধরেছে। বিষয়টি জানার পর পুলিশকে জানিয়েছি। থানায় মাছ ও মাংস পরীক্ষা করে ভোক্তা অধিকার তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available