নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি ডিসেম্বরে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনে এসেছে ২১৭ কোটি ২১ লাখ মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসেবে)।

২১ ডিসেম্বর রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি রেমিট্যান্স আহরণের চলমান এ প্রবাহ অব্যাহত থাকে, তবে ডিসেম্বর মাস শেষে প্রবাসী আয় ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে এক শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করবে।
এদিকে, প্রবাসী আয়ের উল্লম্ফনের ফলে ব্যাংকগুলোতে ডলারের উদ্বৃত্ত সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে, বৈদেশিক মুদ্রার যোগান-চাহিদার ভারসাম্য ঠিক রাখতে এবং মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আজ ৪টি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে প্রায় ৬ কোটি ডলার কিনেছে।
মাল্টিপল প্রাইস অকশন (এমপিএ) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এ ক্রয়ে ডলারের এক্সচেঞ্জ রেট ছিল প্রতি ডলার ১২২.৩০ টাকা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরে মোট ডলার ক্রয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৩২ মিলিয়ন বা ২ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, চলতি মাসের ১ থেকে ২০ ডিসেম্বর সময়ে দেশে ২১৭ কোটি ২১ লাখ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের একই সময়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার। সেই হিসেবে সময়ের ব্যবধানে প্রবাসী আয় বেড়েছে সাড়ে ৯ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৫২১ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ৩১২ কোটি ডলার। ফলে এই সময়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগ, প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং চ্যানেলের উন্নতি রেমিট্যান্স আয় বাড়াতে বড় ভূমিকা রেখেছে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও স্বস্তিতে আছে।
এদিকে সদ্য সমাপ্ত নভেম্বর মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন, দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার ২৫২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available