কক্সবাজার প্রতিনিধি: বাংলাদেশের জন্য বঙ্গোপসাগর এখন একটি কৌশলগত কেন্দ্রবিন্দু। সমুদ্রসীমা নির্ধারণের পর দেশের আয়তনে প্রায় ১,১৮,৮১৩ বর্গকিলোমিটার নতুন সমুদ্র এলাকা যুক্ত হয়েছে। যেখানে রয়েছে গ্যাস, খনিজ এবং সামুদ্রিক সম্পদের বিপুল সম্ভাবনা। একই সঙ্গে নৌপথের কারণে বঙ্গোপসাগর ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ করে দিয়েছে। এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক করিডর হিসেবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপি নেতা এ এস এম সুজা উদ্দিন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব বিবেচনায় ব্লু ইকোনমি, আঞ্চলিক সহযোগিতা, নৌবন্দর উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলছে ২৪ এর গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী গঠিত দেশের বর্তমান রাজনীতিতে আলোচিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
৩১ আগস্ট রোববার দলটির ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কাউন্সিল ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন কক্সবাজারের তরুণ এ এস এম সুজা উদ্দিন। একইসঙ্গে তিনি দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
সুজা উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূরাজনীতি, অর্থনীতি এবং সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করছেন। বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরীয় রাজনীতি নিয়ে তার গবেষণা ও পরিকল্পনা রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত হয়েছে।
এনসিপির নীতি নির্ধারণী মহল মনে করছে, তার অংশগ্রহণ দলীয় কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
এক বিবৃতিতে সুজা উদ্দিন জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগর কেবল ভূরাজনীতির কেন্দ্র নয়, বরং আগামী প্রজন্মের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রার মূল ভিত্তি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরে চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বৈশ্বিক শক্তির উপস্থিতি দিন দিন বাড়ছে। ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ হিসেবে সমুদ্র নিরাপত্তা, নৌচলাচলের স্বাধীনতা, জলদস্যুতা রোধ এবং জ্বালানি সম্পদ আহরণ এখন আন্তর্জাতিক এজেন্ডার মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বাস্তবতায় বাংলাদেশের জন্য সঠিক কূটনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available