শৈলকূপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়নের ফুলহরি গ্রামের ৫৯ বছর বয়সী আম্বিয়া খাতুন অজ্ঞাত চক্রের প্রতারণার শিকার হয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩-এর মামলার আসামি হয়েছেন। মৌলভীবাজার জেলা আদালতে দায়েরকৃত মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইতোমধ্যে আম্বিয়ার বাড়িতে আদালতের নোটিশ পৌঁছেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির নামে কয়েকজন ব্যক্তি গ্রামে আসে। তারা বিনামূল্যে সিম দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আম্বিয়া খাতুনের জাতীয় পরিচয়পত্র, আঙুলের ছাপ ও ছবি সংগ্রহ করে। কিন্তু আঙুলের ছাপ না মেলার অজুহাতে সিম না দিয়েই তারা সেখান থেকে চলে যায়।
এর কিছুদিন পর মৌলভীবাজার থেকে মামলার নোটিশ আসে। অভিযোগ করা হয়, আম্বিয়ার নামে নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করে বিকাশ, রকেট ও নগদ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এবং প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৪ লাখ টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছে। হঠাৎ এ ধরনের মামলার নোটিশ পেয়ে হতভম্ব হয়ে পড়েন অসহায় এ নারী। বর্তমানে তিনি আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
আম্বিয়া খাতুন ফুলহরি চরপাড়া গ্রামের মগরব আলীর স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, তিনি আর্থিকভাবে দুর্বল এবং অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
ফুলহরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন বলেন, “আমার ইউনিয়নের এক দরিদ্র ও মানসিকভাবে দুর্বল নারী অন্যের বাড়িতে কাজ করে খেয়ে বাঁচে। সে কীভাবে লাখ টাকার প্রতারণা করতে পারে? এখানে নিশ্চয়ই কোনো প্রতারক চক্র ও মোবাইল কোম্পানির অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশ রয়েছে।”
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পিবিআই কার্যালয়ের পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাস জানান, আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, “আম্বিয়া খাতুন নির্দিষ্ট দিনে হাজির না হলে তার চিকিৎসা সনদ দিয়ে নিকটস্থ থানাকে জানাতে হবে। কেবল আঙুলের ছাপ নিলেই বিকাশ বা নগদ অ্যাকাউন্ট চালু হয় না। এ ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available