আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় হোমস শহরের একটি মসজিদে জুমার নামাজ চলাকালীন এক ভয়াবহ হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন।

২৬ ডিসেম্বর শুক্রবার শহরের ওয়াদি আল-দাহাব এলাকায় অবস্থিত ‘ইমাম আলী বিন আবি তালিব’ মসজিদে এই হামলা চালানো হয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সানা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ঘটনার পরপরই নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি ঘিরে ফেলেছে এবং এটি আত্মঘাতী হামলা নাকি আগে থেকে পুঁতে রাখা বোমা-তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।


হোমস শহরটি আলাউইত, খ্রিস্টান এবং সুন্নিসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাসের কেন্দ্রস্থল। আল-জাজিরার প্রতিনিধি আইমান ওঘান্না জানিয়েছেন, আক্রান্ত মসজিদটি মূলত আলাউইত সম্প্রদায়ের। ফলে এই হামলাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নতুন করে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়ায় কট্টরপন্থী গোষ্ঠী আইএসআইএল-এর তৎপরতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। আজকের এই হামলার ঠিক আগেই আলেপ্পোর নিকটবর্তী এলাকায় সরকারি বাহিনী অভিযান চালিয়ে তিন সন্দেহভাজন আইএস সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। গত কয়েক সপ্তাহে সিরিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সক্রিয়তা দেশটিকে আবারও অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে সিরিয়ায় দুই মার্কিন সেনা এবং এক দোভাষী নিহতের ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তার প্রতিশোধ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় আইএসআইএল-এর বিভিন্ন আস্তানায় বিমান হামলা চালিয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই হোমসের মসজিদে এই রক্তক্ষয়ী হামলা শান্তি প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলল। এই হামলার পেছনে আইএস-এর হাত রয়েছে কি না, তা নিয়ে এখন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available