হাসিনা গাজী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও অভিভাবক সমাবেশ
                                                             বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাসিনা গাজী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক, অভিভাবক ও সুধীজনদের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।২ নভেম্বর রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ের হলরুমে শিক্ষার মানোন্নয়ন, ছাত্রীর উপস্থিতি বৃদ্ধি ও বিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মতিন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ জহুরুল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আফসার আলী।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার শ্যামল কুমার রায়, বাট্টাজোড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. লিটন আকন্দ, বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মোতালেব সরকার, বাট্টাজোড় নগর মামুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলহাজ মো. সহিজল হক, বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মির্জা সোহেল, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য মো. মুসা তারেক প্রমুখ।অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো. শহিদুল্লাহ, মো. এরশাদ জাহান, মো. আব্দুল জব্বার, ডা. মো. ইউসুফ আলীসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার গুণীজন উপস্থিত ছিলেন।বক্তারা বলেন, “হাসিনা গাজী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী ও সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এলাকায় অনুমোদনবিহীন কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি স্কুল গড়ে উঠেছে, যারা নানা প্রলোভন ও মিথ্যা আশ্বাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগেরই সরকারি নিবন্ধন বা এমপিওভুক্ত কোনো বৈধতা নেই। অথচ এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়গুলোতে প্রশিক্ষিত শিক্ষক দ্বারা পাঠদান করা হয়, যা শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”বক্তারা আরও বলেন, “শিক্ষার মান ও ছাত্রীর উপস্থিতি বৃদ্ধির জন্য শিক্ষক, অভিভাবক ও প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে, তা নিশ্চিত করতে সবার সহযোগিতা জরুরি।”প্রধান অতিথি ও বিদ্যালয়ের সভাপতি শাহ জহুরুল হোসেন তার দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে বলেন, “আমি বিদ্যালয়টির সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানের পূর্বের সুনাম ফিরিয়ে আনতে সার্বিক সহযোগিতা করব। নিয়ম অনুযায়ী কোনো শিক্ষার্থী ৭৫ শতাংশের কম উপস্থিত থাকলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে নিয়মিত উপস্থিত রাখা ও শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করতে শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় সমাজের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ রাখতে হবে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিতে হবে।”সভাপতির বক্তব্যে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মতিন বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।