• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ১৭ই ভাদ্র ১৪৩২ সকাল ০৬:২১:৪১ (01-Sep-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

বোদায় পতিতাব্যবসায়ী আটক, মামলা নিতে পুলিশের গড়িমসির অভিযোগ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে চলা পতিতাব্যবসার বিরুদ্ধে অবশেষে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। উপজেলার ডকসাপাড়া গ্রামে ২২ আগস্ট শুক্রবার রাতে জনতার হাতে এক নারীসহ আটক হয়েছেন  ওসমান আলী ওরফে চান্দু মিয়া। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় তাদের থানায় সোপর্দ করা হলেও মামলা নেওয়া নিয়ে টালবাহানা করছে পুলিশ বলে অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয়রা জানান, বোদার বামুনেরহাট এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি কালামের ছত্রছায়ায় চান্দু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে পতিতাব্যবসা চালিয়ে আসছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী এনে এ ব্যবসা পরিচালনা করে।স্থানীয়রো উদ্যোগ নিয়ে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে চান্দু মিয়া ও এক নারীকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশকে জানানো হয়। রাতেই তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।গ্রাম পুলিশ সদস্য সামিউল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয়দের ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আটকরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে। পরে শনিবার সকাল ১০টার দিকে আমরা তাদের থানায় হস্তান্তর করি।’ইউপি সদস্য রিনা পারভীন বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্থানীয়রা দু’জনকে আটকে রেখেছে। মেয়েটি নিজেই স্বীকার করেছে যে এটিই তার পেশা। তাদের পরিবারের লোকজনকে ডাকা হলেও কেউ আসেনি। তাই সকালে থানার হেফাজতে দেওয়া হয়।’ঘটনার পর থেকেই স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে, থানায় নেওয়ার পরও মামলার বিষয়ে পুলিশ গড়িমসি করছে। স্থানীয়দের দাবি, থানার ওসি মামলা না নিয়ে আটকদের ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।এ বিষয়ে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজীম উদ্দিন বলেন, ‘অবৈধ কাজ করলে তা মানুষের ঘরের ভেতর থেকে ধরতে হয়। রাস্তায় আটক করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। স্বীকারোক্তি দিলেই মামলা হয় না।’পুলিশের এমন বক্তব্যে স্থানীয়রা হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাদের প্রশ্ন, হাতেনাতে ধরা পড়া এবং স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? তারা ন্যায়বিচারের স্বার্থে উচ্চপদস্থ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।