• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১৯শে ভাদ্র ১৪৩২ ভোর ০৪:৩০:৫৭ (04-Sep-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে থাকবে কঠোর পদক্ষেপ: টুকু

স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল: বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, “আগামীতে যেন কেউ কিশোর গ্যাং পরিচালনা করতে না পারে, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ থাকবে।”১ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মাঠে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।টুকু বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার আমলে কিশোর গ্যাং নামের অপসংস্কৃতি চালু হয়েছিল। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কেন অবৈধ কর্মকাণ্ডে ধাবিত করা হবে? তারা সুশিক্ষা নিয়ে দেশ গড়বে, মা-বাবা ও জাতির জন্য গৌরব বয়ে আনবে।”তিনি আরও বলেন, “আগামীর কিশোররাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তাদের দক্ষতায় দেশ এগিয়ে যাবে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একসময় মেধাবীদের হিজল পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে উৎসাহ যুগিয়েছিলেন। আমরাও চাই, নতুন প্রজন্ম দেশ গঠনে ভূমিকা রাখুক।”নিজ দলের প্রচারের প্রসঙ্গে টুকু বলেন, “আমি যেহেতু মার্কেটিংয়ের ছাত্র, তাই বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে একটি বই ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দিতে চাই। এই ৩১ দফার মধ্যে দুটি আজ তুলে ধরছি -এক, শিক্ষার মানোন্নয়ন; দুই, জনগণের ভোটে ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক পরিবারে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে, যা থাকবে মায়েদের নামে।”তিনি বলেন, “মায়েদের নামে ফ্যামিলি কার্ড থাকবে যেন সংসারে তারা সম্মানিত হন ও তাদের ক্ষমতায়ন হয়।”দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের প্রসঙ্গে টুকু বলেন, “আমরা খুনি হাসিনার মতো দিনের ভোট রাতে চাই না। আমরা চাই আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে।”নিজ শহর টাঙ্গাইলের প্রতি বিশেষ টান অনুভবের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি টাঙ্গাইলের সন্তান। ঢাকায় থাকলেও টাঙ্গাইলকে ঘিরেই আমার ভাবনা। আমি চাই টাঙ্গাইল আধুনিক ও উন্নত হোক।”নারী শিক্ষার অগ্রগতিতে খালেদা জিয়ার অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বর্তমানে দেশে নারী শিক্ষার্থীর হার বেশি। এর পেছনে খালেদা জিয়ার অবদান রয়েছে, কারণ তিনিই অবৈতনিক শিক্ষা চালু করেছিলেন।”দ্যা ডেইলি স্টারের স্টাফ রিপোর্টার মির্জা শাকিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  দ্যা প্রেসিডেন্ট ইউনিভার্সিটির প্রফের জুলফিকার আলী, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক শানু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সৈয়দ শহিদুল আলম টিটু, জেলা মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজ করিম,  জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুর্জয় হোড় শুভ সহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকবৃন্দ।