বনবিভাগের অভিযানে হরিণের মাংসসহ আটক ২
বাগেরহাট প্রতিনিধি:পূর্ব সুন্দরবন বনবিভাগের অভিযানে হরিণের মাংস জব্দ হয়েছে। এসময় হরিনের মাংস পাচারকারী দলের ২ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঢাকাগামী একটি বাসে মেলে ওই মাংস।বনবিভাগ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাথরঘাটার জ্ঞ্যানপাড়া বিশেষ টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বাবুরহাট বাজার এলাকা ঢাকা-মঠবাড়িয়া সড়কে অবস্থান নেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজিব পরিবহনের ঢাকাগামী একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৭৪৩১) উক্ত এলাকায় এলে তল্লাশী করা হয়। এসময় বাসটির সাইড বাক্সে একটি ককশীট বাক্সে ২টি পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো আনুমানিক ১০ কেজি হরিনের মাংস খুঁজে পায় বনবিভাগের অভিযানিক দলটি।পরে অবৈধ হরিনের মাংস জব্দ ও মাংস পাচারকারী দলের ২ জন সদস্য গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার কচুয়া গ্রামে জোনাব আলীর ছেলে আ. ছালাম (৪০) ও মোরেলগঞ্জের সন্ন্যাসী ছোটপুরী গ্রামের মো. বাকেরের ছেলে মো. জাকারিয়া (২৫)। এরমধ্যে আ. ছালাম ওই বাসের হেল্পার বলে জানা গেছে।শরণখোলা ফরেস্ট রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব জানান, গ্রেফতাকৃত আসামীদের কাছ থেকে হরিণের মাংস পাচারকারী অপর দুই ২ ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নং পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তা এখন প্রকাশ করা যাচ্ছে না। আসামীদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বাগেরহাট বন আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, হরিণের মাংসের প্রেরক ও প্রাপক অর্থাৎ সরবরাহকারী ও ভোক্তা কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। ফুট পেট্রোলিং ও গোয়েন্দা নজরদারীর কারণে হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার ও চোরচক্র গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে। বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।