তাইওয়ানে ১১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তাইওয়ানে ১১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি অনুমোদন করেছে। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমতায় এসে তিনি তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির দ্বিতীয় চালানের অনুমতি দিলেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ ১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, অস্ত্রের এই চালানে রয়েছে হিমারস রকেট সিস্টেম, হোউইটজার কামান, ট্যাংক বিধ্বসী ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনসহ অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্রের যন্ত্রাংশের বিপুল সম্ভার।যুক্তরাষ্ট্র যদিও তাইওয়ানকে আলাদা স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না তবে দ্বীপদেশটির অন্যতম নিরাপত্তা গ্যারান্টিদাতা হিসেবে ভূমিকা পালন করে। চীনের সম্ভাব্য হামলা থেকে তাইওয়ানকে রক্ষার জন্য এই গ্যারান্টি দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চীন বরাবরই বলে আসছে তাইওয়ান তাদের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং অখণ্ডতা রক্ষায় তারা প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করবে।বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির এই ঘোষণা দেওয়া হলো। আর এর মাধ্যমে তাইওয়ানের নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের বলিষ্ঠ ভূমিকার বিষয়টি আরও জোরদার হবে।তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অস্ত্র বিক্রির এই বিষয়টি এক মাসের মধ্যে কার্যকর হতে যাচ্ছে।তবে অস্ত্র বিক্রির বিষয়টিতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে এবং আশা করা হচ্ছে কংগ্রেসে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দুদলের সদস্যদের সম্মতি নিয়েই তা পাস হবে।সম্প্রতি তাইওয়ানের চারপাশে চীনের সামরিক উপস্থিতির কারণে দ্বীপদেশটির প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাইওয়ানের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প থাকলেও চীনের অস্ত্রশস্ত্রের সঙ্গে পাল্লা দিতে তারা মার্কিন অস্ত্রের ওপর বেশ অনেকটাই নির্ভর করে।