• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১৮ই ভাদ্র ১৪৩২ রাত ১০:৫০:৪৩ (02-Sep-2025)
  • - ৩৩° সে:

জেলার খবর

কুষ্টিয়া ২ আসনে তৃণমূলের আস্থার বাতিঘর অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম

২৩ আগস্ট ২০২৫ দুপুর ০২:৪২:০৪

সংবাদ ছবি

সাইদুর রহমান কুষ্টিয়া (মিরপুর) প্রতিনিধি: বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কিছু কিছু নাম সময়ের সীমানা পেরিয়ে মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী আসন গড়ে নেয়। কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের মানুষের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম ঠিক তেমনই এক নাম। তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন,  তিনি একদিকে সংগ্রামের প্রতীক অন্যদিকে উন্নয়নের কারিগর ও রূপকার।

তিনবারের সংসদ সদস্য এবং কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সফল সভাপতি হিসেবে তার রাজনৈতিক যাত্রা ছিল মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার এক অনন্য উদাহরণ। এই অঞ্চলের মানুষ আজও মনে রেখেছে কীভাবে তার হাত ধরে শিক্ষা, গ্রামীন অবকাঠামো,  গ্রামীণ সড়কগুলো পাকাসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, কীভাবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় এসেছে পরিবর্তন, কীভাবে তিনি তৃণমূল মানুষের দুঃখ-দুর্দশার সঙ্গী হয়েছিলেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে, তখন কুষ্টিয়া-২ আসনের রাজনীতিতে আবারও উচ্চারিত হচ্ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক শহিদুল ইসলামের নাম। দলের ভেতরে যেমন, তেমনি সাধারণ ভোটার তৃর্ণমূল নেতাকর্মীদের মাঝেও তার প্রতি আস্থা অনেক উচ্চতায় পৌঁছেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা ও সাধারণ ভোটাররা মনে করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম ছাড়া এ আসনে বিএনপির বিজয়ের অন্য কোনো বিকল্প নেই।

তবে দল থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শহিদুল ইসলামকে নমিনেশন না দিলে এই আসনটি হারাতে পারে বলে মনে করেন বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা। তাই প্রবীণ ও দক্ষ  এই নেতাকে দল থেকে নমিনেশন দিয়ে পুনরায় তাকে এমপি বানিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাতে চান সাধারণ ভোটার ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।  

তৃণমূলে অধ্যাপক শহিদুল ইসলামের জনপ্রিয়তার রহস্য

অধ্যাপক শহিদুল ইসলামের জনপ্রিয়তা কেবল রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তার সহজ-সরল জীবনযাপন, মানুষের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতৃত্ব তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। তিনি রাজনীতিকে কখনো ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করেননি বরং এটিকে ব্যবহার করেছেন মানুষের উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে। এ কারণেই আজও মানুষ তাকে স্মরণ করে আন্তরিক ভালোবাসা নিয়ে।

মিরপুর-ভেড়ামারার তৃণমূল মানুষ প্রায়ই বলে থাকেন “শহিদুল স্যার শুধু এমপি নন, তিনি আমাদের আশ্রয়স্থল। আমরা বিপদে পড়লে তার কাছে ছুটে যেতাম, আর তিনি আমাদের নিরাশ করতেন না।”
এমন মন্তব্যগুলো প্রমাণ করে যে, তিনি শুধু রাজনীতির নেতা নন; তিনি এক ধরনের অভিভাবক হয়ে উঠেছিলেন এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া কৃষক ও দিনমজুর মানুষের কাছে।

আগামী নির্বাচনে সম্ভাবনার দিগন্ত

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপির জন্য কুষ্টিয়া-২ আসনটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন। দলের ভেতরে শক্তি পুনর্গঠন এবং মাঠে জনআন্দোলনের প্রস্তুতির সময়ে শহিদুল ইসলামের মতো নেতৃত্বই তৃণমূলে নতুন উদ্দীপনা জাগাতে পারে। এজন্যই অনেক নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা বিশ্বাস করেন আসন্ন  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএনপি আবারও এ আসনে বিজয়ের ইতিহাস রচনা করতে সক্ষম হবে।

২ আসনের সাধারণ ভোটাররা মনে করেন, রাজনীতি শুধু ক্ষমতার খেলা নয়; এটি মানুষের আস্থা, ভালোবাসা এবং বিশ্বাস অর্জনের সংগ্রাম। অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম সেই সংগ্রামে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তৃণমূলের আস্থার বাতিঘর হিসেবে। তার হাত ধরে কুষ্টিয়া-২ আসনের মানুষ একসময় যেমন উন্নয়নের স্বাদ পেয়েছিল, তেমনি আজও তারা স্বপ্ন দেখে আগামী দিনেও তিনি তাদের পাশে থাকবেন।

তৃণমূলের এই স্বপ্ন, বিশ্বাস এবং আস্থা যদি বাস্তব রূপ নেয়, তবে নিঃসন্দেহে কুষ্টিয়া-২ আসনে বিএনপির বিজয়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ

সংবাদ ছবি
ভেদরগঞ্জে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু, আহত ১
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রাত ০৯:১৪:৪১



সংবাদ ছবি
রাজধানীর মৌচাকে মসজিদে আগুন
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৮:১০





সংবাদ ছবি
এলপি গ্যাসের দাম কমলো ৩ টাকা
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বিকাল ০৫:০৩:০৭