গাজীপুরের (শ্রীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের শ্রীপুরে ‘আলিফ ফার্টিলাইজার’ নামে একটি অবৈধ ও ভেজাল সার কারখানায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

১৭ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে আর্ধ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ ভেজাল সার ও তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।


গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কারখানাটিতে বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ডের নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে ইটের গুঁড়া ও ক্ষতিকারক রাসায়নিক দিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল নকল সার। জিপসাম, জিংকসহ নানা প্রকারের সার প্যাকেটজাত অবস্থায় সারিবদ্ধভাবে সাজানো ছিল।
অভিযানে জব্দকৃত উল্লেখযোগ্য মালামালের মধ্যে রয়েছে:
৮ টন আলিফ জিপসাম।
২ টন পাওয়ার জৈবসার।
২ টন শক্তি জিংক প্লাস।
১.৫ টন গ্রোজিংক।
১.৫ টন খোলা জিপসাম।
১.২৫ টন জিপসামের কাঁচামাল।
৯৫০ কেজি ইটের গুঁড়া।
১ টন গোটা মুসুর (ভেজাল তৈরির মিশ্রণ হিসেবে ব্যবহৃত)।
এছাড়াও রোটন প্লাস, ডায়াজিনন, ফরফুরান এবং ইটের খোয়া দিয়ে তৈরি নিষিদ্ধ বাসুডিনসহ সার তৈরির সরঞ্জাম ও মেশিন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, জব্দকৃত শুধুমাত্র প্যাকেটজাত ভেজাল সারগুলোর বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা। কাঁচামাল ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ সামগ্রিক মূল্য কয়েক কোটি টাকা হতে পারে।
অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, "কৃষকের সঙ্গে প্রতারণা করে ইটের গুঁড়া দিয়ে এসব বিষাক্ত ও নকল সার তৈরি করা হচ্ছিল। আমরা কারখানাটি সীলগালা করে দিয়েছি এবং জব্দকৃত মালামাল ধ্বংস করার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযানের সময় মালিকপক্ষকে পাওয়া না গেলেও তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।"
অভিযানকালে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আফরোজা এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কবির হোসেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available