কেরানীগঞ্জে পৃথক ঘটনায় শিশু ও যুবকের রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার কেরানীগঞ্জে ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে শিশু ও অজ্ঞাত যুবকসহ দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।২৯ আগস্ট শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটায় ঝিলমিল আবাসিক এলাকার ভেতর থেকে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো বসে থাকা অবস্থায় এক যুবকের(২৫) ও আব্দুল্লাহপুর করেরগাঁও এলাকায় সেপটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে ইব্রাহিম (২) নামে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইব্রাহিম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আব্দুল্লাহপুর করেরগাও এলাকার আব্দুস সালাম মিয়ার ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধারের সময় বসে থাকা অবস্থায় গলায় রশি দিয়ে বাউন্ডারি দেয়ালের রডের সাথে বাধা ছিল। এ সময় কান দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা হত্যার পর তাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে পুলিশ সুরতহালের সময় আঘাতের কোন চিহ্ন পায়নি। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক রিপোর্টে গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু হয়েছে এমনটা উল্লেখ করা হয়েছে।এছাড়া শিশু ইব্রাহিম সকাল ৯টা থেকে নিখোঁজ ছিল। পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করার সময় পার্শ্ববর্তী ইসহাক মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক এর সামনে শিশুটির জুতা দেখে সন্দেহ হলে তারা ট্যাংকের ভেতর খোঁজাখুঁজি করে দুপুর ১ দিকে মৃত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে। ময়লার টাংকটি অনেকদিন ধরেই অরক্ষিত খোলা অবস্থায় থাকায় বাড়ির মালিক ইসহাক মিয়াকে অনেকবার জানানো হয়েছে তবে তিনি কোন ব্যবস্থা দেননি। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা,খেলতে গিয়ে শিশুটি অসাবধানতাবশত ট্যাংকের ভিতর পড়ে গিয়েছিল। তবে এলাকাবাসীর ধারণা শিশুটির মৃত্যু রহস্যজনক,এটি হত্যাকান্ড হতে পারে।ঘটনা দুটির বিষয়ে জানতে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আকতার হোসেন ও ইন্সপেক্টর তদন্ত আল আমিন হোসেনকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলে তা রিসিভ না করে কেটে দিয়েছেন। পরবর্তীতে কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনিও তা রিসিভ করেননি।