• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ২০শে কার্তিক ১৪৩২ বিকাল ০৫:২৩:৩৭ (04-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

গবেষণা প্রকল্পে অনুদান পাচ্ছেন বুটেক্সের ২ শিক্ষক

বুটেক্স প্রতিনিধি: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচি’র আওতায় ২০২৫–২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) দুই শিক্ষক একটি প্রকল্পের জন্য বিশেষ গবেষণা অনুদান পেয়েছেন। তাঁরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সামিউল ইসলাম চৌধুরী এবং একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরহাদুর রহমান।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুটেক্সের দুইজন শিক্ষক এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স রিসার্চ এরিয়া থেকে একটি প্রকল্পে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার অনুদান পাবেন। ১৯ অক্টোবর (রবিবার) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচি’ খাত থেকে এই অনুদান প্রদান করা হবে।গবেষণা প্রকল্পের অনুদানটি নিয়ে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরহাদুর রহমান বলেন, আমরা যে প্রকল্পটি জমা দিয়েছি সেটির বাস্তবায়নের জন্য যে যন্ত্রপাতি দরকার, সেটির দাম হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা। সেটির দাম যুক্ত করে আমরা সাড়ে ১০ লাখ টাকার আবেদন করেছিলাম। তবে উনারা যেহেতু ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিচ্ছেন আমাদের, তার মানে সেই সরঞ্জামের টাকা আমাদের দেওয়া হয়নি। আমরা যে বিষয়ে প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি, এ ধরনের প্রকল্পের জন্য মন্ত্রণালয় সাধারণত নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে অনুদান দেয়। অনুদানের পরিমাণটি প্রকল্পের বিষয় ও বাস্তবায়নের আনুষঙ্গিক খরচের উপর নির্ধারিত হয়।তবে দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বুটেক্স থেকে অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষকের সংখ্যা অনেক কম। জানা যায়, অনুদানপ্রাপ্ত দুইজন শিক্ষক বাদে অন্য কোনো শিক্ষক আবেদন করেননি।এই বিষয়ে কারণ কী হতে পারে-এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোহাম্মদ ফরহাদুর রহমান জানান, এটির জন্য সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ে মন্ত্রণালয় থেকে নোটিশ আসে, যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাঁদের প্রকল্প জমা দেয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন এবং নির্বাচিত প্রকল্পের ভিত্তিতে শিক্ষকগণ মন্ত্রণালয় থেকে অনুদান প্রাপ্ত হন। তবে দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে আমাদের বুটেক্স বরাবর মন্ত্রণালয় থেকে সেটির বিজ্ঞপ্তিটি পাঠানো হয়নি। ফলে বেশিরভাগ শিক্ষক বিষয়টি সম্পর্কে জানতেই পারেননি। আরো শিক্ষক আবেদন করতে পারলে তারাও অবশ্যই এটির জন্য নির্বাচিত হতেন।টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইদুজ্জামান বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষকদের জন্য গবেষণা অনুদান পাওয়ার সুযোগ থাকে। এসব অনুদান পাওয়ার জন্য শিক্ষকদের আরো গবেষণামুখী হতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কাজের চাপ কমাতে হবে। কেননা গবেষণা অনুদান পাওয়ার জন্য কোথায় সুযোগ আছে, তা খোঁজ রাখার জন্য তাদের সময় দরকার। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংখ্যা ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতে যথেষ্ট কম। যেসব শিক্ষক বর্তমানে গবেষণায় যুক্ত, তাঁরা নিজ উদ্যোগেই কাজ করছেন।উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তিতে ৬৬২টি গবেষণা প্রকল্পের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যা এবারের সবচেয়ে বড় সরকারি গবেষণা অনুদান হিসেবে বিবেচিত। এই অনুদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক–শিক্ষার্থী এবং গবেষকরা এমএস, এমফিল, পিএইচডি ও পোস্ট–ডক্টরাল পর্যায়ে গবেষণার সুযোগ পান। এর লক্ষ্য হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাকে উৎসাহিত করা।