এস জেড এইচ এম ট্রাস্টের উদ্যোগে ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা প্রদান
নিজস্ব প্রতিবেদক: এস জেড এইচ এম ট্রাস্টের উদ্যোগে ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। যুগের চাহিদানুযায়ী ইসলাম-সুফিবাদকে মানবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করছে।১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে ট্রাস্টের নিজস্ব মিলনায়তনে এ চেক বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।এস জেড এইচ এম ট্রাস্টের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এমডি জাফরের সভাপতিত্বে চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন, গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া খলিলুর রহমান মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, কর্ণফুলি আবদুল জলিল চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন, মুসলিম বিশ্ব গবেষণা-জ্ঞান-বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়েছে। গবেষণায় যে তাদের ঐতিহ্য ছিল তা আজ হারানোর পথে। বর্তমানে সুফি ঘরনায় শাহানশাহ্ হজরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক :) ট্রাস্ট যে মানবিক কর্মকাণ্ড বিশেষ করে গবেষণায় যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তা অনন্য। যুগের চাহিদানুযায়ী ইসলাম এবং সুফিবাদকে গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ট্রাস্টের মানবসেবা গুলো সমাজের জন্য দৃষ্টান্ত।প্রফেসর আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বলেন, শাহানশাহ্ হজরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের ব্যাপক মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সুফিবাদকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছি। সুফিদের দরগাহ্/মাজার ব্যবস্থাপনা থেকে যে এত মহান কর্মযজ্ঞ পরিচালিত হয় তা কল্পনারও বাইরে ছিল। ট্রাস্টের মতো করে যদি দেশের বিত্তবানরাও এগিয়ে আসতো তাহলে এদেশের অসহায় মানুষ আরেকটু ভালো থাকতো।অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পটিয়া খলিলুর রহমান মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবু তৈয়ব এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ট্রাস্টের প্রশাসনিক ও সমন্বয় কর্মকর্তা তানভীর হোসাইন।অনুষ্ঠানে ৩টি মসজিদ নির্মাণে সহায়তা, ১৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শিক্ষক সম্মানী প্রদানে সহায়তা, ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমার, চোখের অপারেশন এবং অন্য জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত ১৮ জন ব্যক্তিকে চিকিৎসা সহায়তা, ১ জন ব্যক্তিকে বিদেশ যাত্রায় সহায়তা ও ২জন ব্যক্তিকে মেয়ের বিবাহে সহায়তাসহ ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩৪ লাখ টাকা প্রদান করা হয়।অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।