প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৫’-এর লিখিত পরীক্ষার তারিখ ও পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।২২ ডিসেম্বর সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ২ জানুয়ারি ২০২৬ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত দেশের সব জেলায় একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা শুরুর অন্তত এক ঘণ্টা আগে, অর্থাৎ সকাল ৯টার মধ্যে নিজ নিজ কেন্দ্রে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপর কোনো প্রার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় নারী ও পুরুষ প্রার্থীদের আলাদাভাবে তল্লাশি করা হবে। প্রয়োজনে হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হবে। ব্লুটুথ বা কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস শনাক্তের জন্য পরীক্ষার্থীদের উভয় কান উন্মুক্ত রাখতে হবে। প্রয়োজনে কানে কোনো স্পাইক ইয়ারফোন রয়েছে কি না, তা টর্চলাইট দিয়ে পরীক্ষা করা হবে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, স্মার্ট ওয়াচ, যেকোনো ধরনের ঘড়ি, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স বা কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব সামগ্রী সঙ্গে পাওয়া গেলে প্রার্থীকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পরীক্ষার্থীদের একটি ওএমআর শিট দেওয়া হবে, যা কেবল কালো বলপয়েন্ট কলম দিয়ে পূরণ করতে হবে। পেনসিল ব্যবহার করলে উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। পরীক্ষা শেষে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র উভয়ই পরিদর্শকের কাছে জমা দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই প্রশ্নপত্র কেন্দ্রের বাইরে নেওয়া যাবে না।সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে প্রতিটি কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ছাড়া অন্য কারও মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি থাকবে না। ভুয়া পরীক্ষার্থী বা অসদুপায় অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক শাস্তি দেওয়া হবে।প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবারের নিয়োগ পরীক্ষায় বিপুলসংখ্যক আবেদন জমা পড়ায় তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে প্রার্থীদের। প্রথম ধাপে (রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগ) ১০ হাজার ২১৯টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন পড়ে ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯২৯টি। দ্বিতীয় ধাপে (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) ৪ হাজার ১৬৬টি পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ১৫১টি।সব মিলিয়ে দুই ধাপে মোট ১৪ হাজার ৩৮৫টি শূন্য পদের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৮০ হাজার ৮০ জন। সে হিসাবে গড়ে প্রতিটি পদের বিপরীতে প্রতিযোগিতা করবেন প্রায় ৭৫ জন পরীক্ষার্থী।