‘পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণে জুলাই গণঅভ্যুত্থান’
নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্যায়ের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণেই জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা জেলার প্রশাসক তানভীর আহমেদ।২ আগস্ট শনিবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক অভিভাবক সমাবেশ ও ‘মাদার্স অব জুলাই’ শীর্ষক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেনছেন, “এটা শুধু একটা ফ্যাসিস্ট দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বললে ভুল হবে। এ আন্দোলনে যেসব সন্তানেরা শহীদ হয়েছে, আন্দোলনে অংশ নিতে তাদের মায়েরা বাধা দেয়নি। কারণ মায়েদের মাথায় শুধু কোটা আন্দোলন বা কোটা সংস্কার ছিল না; বরং তাদের মাথায় ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।ঢাকা জেলা প্রশাসক আয়োজিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এর শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের শ্রদ্ধেয় মায়েদের অংশগ্রহণে ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক অভিভাবক সমাবেশ ও মাদার্স অফ জুলাই শীর্ষক চলচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।তানভীর আহমেদ বলেন, জুলাই নিয়ে আমরা যত স্মৃতিচারণ করি, কত কষ্ট বাড়বে। সেগুলো, সেই রক্ত, সেই লাশ- ভোলার নয়। এই যে শোক, শহীদদের মায়েদের কান্না, এগুলো যদি ভালো কিছুতে কনভার্ট করতে না পারি আমরা, এই জুলাই আন্দোলন সফল হবে না। ভালো কাজ করার চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। সামনের দিনগুলোতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য সফল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।তিনি বলেন, আমরা যখন জুলাই আন্দোলনে শহীদদের তালিকা নিয়ে কাজ করি, তখন অন্যান্য জেলা প্রশাসনের তুলনায় আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়েছে। এখনো আমাদের কাছে বেশ কিছু আবেদন আছে, যেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।যাচাই-বাছাই করে একটা লম্বা কর্মযজ্ঞের পরে প্রথম ধাপের একটা তালিকা আমরা প্রকাশ করতে পেরেছি, পরবর্তীতে আরও তালিকা প্রকাশ হবে।সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজিয়া সুলতানা ও সহকারী কমিশনার সাদিয়া সুলতানার সঞ্চালনায় জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফুয়ারা খাতুন স্বাগত বক্তব্য দেন। পরে উপস্থিত কয়েকজন মা তাদের সন্তানদের নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।এর আগে সকালে ঢাকার জেলার বিভিন্ন থানার শহীদ পরিবারের সদস্যরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রাঙ্গণে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে অভিভাবক সমাবেশ শুরু হয়৷ জুলাই শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নির্মিত ৩৬ মিনিটের চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।