মেঘনায় যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ জনে
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘন কুয়াশায় চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।আজ ২৬ ডিসেম্বর শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের এসপি সৈয়দ মুশফিকুর রহমান।২৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার হরিণাঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।এর আগে চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য জানিয়েছিলেন, চাঁদপুর সদরের হরিনা এলাকায় মেঘনা নদীতে কুয়াশার কারণে দুটি লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এতে দুজন নিহতসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।এদিকে ঝালকাঠি অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল বাইজিদ ইবনে আকবর গণমাধ্যমকে জানান, মেঘনা নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনার ঘটনায় ঝালকাঠিগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চকে আটক করা হয়েছে।জানা গেছে, রাজধানীর সদরঘাট থেকে বরিশালগামী এমভি এডভেঞ্চার-৯ এবং ভোলা থেকে সদরঘাটগামী এমভি জাকির সম্রাট-৩ নামের দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ঘন কুয়াশার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটির বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনার পর এমভি এডভেঞ্চার-৯ বরিশালের দিকে চলে যায় এবং এমভি জাকির সম্রাট-৩ ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা অব্যাহত রাখে। চাঁদপুরে বিআইডব্লিউটিএর পরিদর্শক আব্দুল মান্নান জানান, দুর্ঘটনার পর গভীর রাতে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে ভেড়ানোর চেষ্টা করলে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তারা লঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয়ার হুমকিও দেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে লঞ্চের মাস্টার আহত যাত্রীদের নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা দেন।এদিকে, চাঁদপুর নদী বন্দরের বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনার ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।