পঞ্চগড়ে হোমিও দোকান থেকে ভারতীয় ফুড সাপ্লিমেন্ট জব্দ
পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে হোমিও চিকিৎসার আড়ালে ভেজাল ও অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট বিক্রির অভিযোগে এক হোমিও চিকিৎসককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একই সঙ্গে তার গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ফুড সাপ্লিমেন্ট পণ্য জব্দ করা হয়েছে।১৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে পঞ্চগড় শহরের বানিয়াপট্টি এলাকায় অবস্থিত ‘রায় হোমিও হল’ ও ‘অপুলেন্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল’ এর গুদামে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পঞ্চগড় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ. এস. এম. মাসুম-উদ-দৌলা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. মাসুদ হাসান এবং জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা জয় চন্দ্র বর্মন।অভিযান সূত্রে জানা যায়, ‘অপুলেন্ট ই-কমার্স’ এর প্রায় ১৩ ধরনের ফুড সাপ্লিমেন্ট পণ্য ওষুধ হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছিল, যার অধিকাংশেরই বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। পণ্যের গায়ে মূল্য উল্লেখ ছিল না। এছাড়া মসলা জাতীয় একটি পণ্য, হলুদের গুড়ায় চক পাউডারের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এসব অনিয়মের কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ৪৫ ধারায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।স্থানীয়দের অভিযোগ, সত্যেন্দ্রনাথ রায় দীর্ঘদিন ধরে ‘অপুলেন্ট ই-কমার্স ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের ফুড সাপ্লিমেন্ট পণ্যকে ওষুধ হিসেবে প্রচার ও বিক্রি করে আসছিলেন। একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে এসব পণ্যকে সব ধরনের রোগের কার্যকর ওষুধ হিসেবে উপস্থাপন করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হতো।এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পঞ্চগড় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ. এস. এম. মাসুম-উদ-দৌলা বলেন, ‘এই পণ্যগুলো ওষুধ হিসেবে প্রচারের কোনো বৈধতা নেই। তাৎক্ষণিকভাবে পণ্যের বৈধতার পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দ্রুত প্রমাণাদি উপস্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সময় দেওয়া হয়েছে। ততদিন পর্যন্ত তাদের ব্যবসা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’তিনি আরও জানান, ‘জব্দ করা পণ্যগুলো সিভিল সার্জনের প্রতিনিধির জিম্মায় রাখা হয়েছে। কিছু পণ্যের মান যাচাইয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।