গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: সিঙ্গাপুর প্রবাসী শেখ ফরিদ ইকরামের নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে প্রতারক স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী স্বামীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড়ে বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাব (বিজেসি) দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রধান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী স্বামী শেখ ফরিদ ইকরাম বলেন, ‘আমি একজন প্রবাসী। দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছি। আমি সিঙ্গাপুরে কর্মরত থাকাকালে বাংলাদেশে এসে ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুকসুদপুর উপজেলার ঝুটিগ্রামের মৃত আবুল বাসার মুন্সি সেজ মেয়ে ফাতেমা আক্তারকে (৩২) বিয়ে করি। কিছুদিন পর আমি সিঙ্গাপুরে ফেরত গেলে আমার স্ত্রী গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকার মাসুদ রানার (৩৮) সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আমি ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ছুটিতে আসি।’
‘দেশে আসার পরে গাজীপুরে থাকা আমার শ্বশুরের বাড়ির পাশে ৩ কাঠা জমি ক্রয়ের জন্য নগদ ২০ লক্ষ টাকা অগ্রিম বায়না দেই। তারা জমি না কিনে আমার কষ্টার্জিত পুরো টাকাই আত্মসাৎ করে। পরবর্তীতে আমি জমির বিষয়ে ফয়সালা করার জন্য গাজীপুরে শ্বশুরবাড়িতে যাই এসময় আমার স্ত্রী আমার গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। আমি বাড়ি থেকে যাওয়ার পরে সে তার পরকীয়া প্রেমিক মাসুদ রানার সঙ্গে পালিয়ে যায়। এসময় সে আমার ঘরে থাকা নগদ এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকাসহ আনুমানিক ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘একজন প্রবাসী হিসাবে সরকারের নিকট আমার আকুল আবেদন, আমার কষ্টার্জিত খোয়া যাওয়া নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার এবং অন্যান্য মালামাল দ্রুত ফেরত পাওয়াসহ অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
ভুক্তভোগী শেখ ফরিদ ইকরাম মুকসুদপুর আমলী আদালতে দুইটি পিটিশন মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান, যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available